সর্বশেষ
  কুরবানি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বিধান। মুফতি শরীফ মোহাম্মদ সাঈদ   লন্ডনে সিম্পল রিজনের অফিস পরিদর্শন করলেন মুফতি সাইফুল ইসলাম   লিডসে শায়েখে বাঘা রহঃ-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   বার্মিংহামে শায়েখে বাঘা রহঃ জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত   লন্ডনের সভায় আলেমরা বি এ এস বি কমপ্লেক্সকে সহযোগিতার আহবান জানালেন।   বইঃ বশীর আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ   বায়রাক্তার টিবি২ দীপ্তিমান করছে তুরস্কের ভাগ্য   জার্মানিতে বছরে শতাধিক মসজিদে হামলা; উদ্বিগ্ন মুসলিমরা   বুজুর্গ উমেদ খাঁ। চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধারের মহানায়ক!   ডুরান্ড লাইন! পাক - আফগান দ্বন্দ্বের রেড লাইন!   ত্রিপুরা ও বাংলার ঐতিহাসিক সম্পর্ক | পর্ব ২   ত্রিপুরার সাথে ইসলাম এবং বাংলাদেশের সহস্র বছরের যোগসূত্রের সন্ধানে!   আসামের বর্তমান পরিস্থিতি!   আসামে ইসলামের আগমন ও এন আর সি ক্রাইসিস।   নবাব নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়া বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব!   প্রাক-ইসলামিক আরব। ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি।   ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষের অবিচ্ছিন্ন জলপথ আবিষ্কার।   আফ্রিকার বুকে পর্তুগীজ কলোনি স্থাপনের ইতিহাস।   পূর্ব আফ্রিকায় পর্তুগিজ উপনিবেশ স্থাপন, শোষণ ও ফলাফল   ধর্ষণের আলামত যেভাবে পরীক্ষা করা হয়।   মেটাভার্স   বাংলাদেশের সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক   লিবারেলিজম।   ইউরোপে ইসলাম বিদ্বেষের উত্থান।    পাকিস্তানে ইসলামী দল, তেহরিক-ই-লাব্বাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা।   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব- ১১। নেতৃত্বের যোগ্যতা ও ব্যর্থ নেতৃত্ব।   ২০২০ সালের দিল্লি সহিংসতা ছিল একটি সংগঠিত, পরিকল্পিত ‘প্রোগ্রাম’। এবং কেন?   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৭   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৬   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৫   ২০০২ সালের গুজরাট গণহত্যা ও নরেন্দ্র মোদি   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৪   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৩   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-২   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-১   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব- ১০   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৯   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৮   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৭   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৬   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৫   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৪   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৩   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-২   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-১   রিবা নির্মূল হতে পারে সীরাতের পন্থায়!   ১৯৯১ সালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরায় গণধর্ষণ। আজও বিচার হয়নি।   নজরদারি: ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত’   ব্যবসার সঙ্গে অন্য সংস্কৃতিকে যুক্ত করার এজেন্ডা!

মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব- ১১। নেতৃত্বের যোগ্যতা ও ব্যর্থ নেতৃত্ব।

২২ এপ্রিল ২০২১ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

    শেয়ার করুন

হোসাইন আহমদ। 

প্রত্যন্ত অঞ্চলের ও মরুভূমির মানুষদের সমাজটা হয় পবিত্র। ভেজালমুক্ত। তাদের মধ্যে যৌথ সমাজবদ্ধ মানসিকতা বেচে থাকে। এর কারন হল প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কঠিন, সাধারণ জীবন যাপন পদ্ধতি। কষ্ট সহিঞ্চু ও অনাহারে অভ্যস্ততা। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা তাদের মূল যৌথ মানসিকতা বা মনোভাব হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। এই যৌথ মনোভাব ও আচরণের বিষয় নিয়ে ইবনে খালদুন আলোচনা করেছেন তার পুরো বইয়ে। আমরা পর্যায়ক্রমে সেগুলো পরীক্ষা করবো। যেমন একটি সমাজের একজন ব্যাক্তি যদি অন্য সমাজের মানুষের সাথে মিলিত হতে থাকে। তাদের সাথে বসবাস করে। তাদের সাথে জোটবদ্ধ হয়। বা তাদের মধ্যে মুনিব-কর্মচারী সম্পর্ক তৈরি হয়। আস্তে আস্তে সেই লোক নতুন সমাজে ইন্ট্রিগেট হওয়া শুরু করে। একসময় মানসিকবাভে নতুন সমাজের একজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এটা হয় তার নতুন পরিচয়। এভাবে ঘনিষ্ঠভাবে অন্য সমাজের সাথে মিলিত হতে থাকায়, সময়ের ব্যবধানে মূল পরিচিতি, দলীয় অনুভূতি, যৌথ মনোভাব হারিয়ে যায়। এরপরেও যারা এই অনুভূতি ধারণ করেন, তাদের মৃত্যুতে অবশিষ্ঠ অনুভূতির স্মরনও হারিয়ে যায় ঐ সমাজ থেকে। এমন অবস্থা প্রাক-ইসলামী যুগ ও ইসলামী যুগের আরব অনারব সকল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঘটেছে।

বর্তমানে নেতৃত্বের সংকট বলে একটি কথা আমরা অহরহ শুনি। এই নেতৃত্বের সংকট কেন হয়। এর কারন হিসেবে ইবনে খালদুন বলছেনঃ সমান যৌথ অনুভূতি লালন করে না এমন ব্যাক্তির উপর নেতৃত্ব দান নেতৃত্বশূন্যতার অন্যতম বড় একটি কারণ। অনেকেই খেয়াল করেন না যে, একটি দল, গোষ্ঠী বা জাতি একজন বা দুজন নেতা নিয়ে গঠিত হয় না। একটি জাতিকে নেতৃত্ব দিতে তাই যোগ্যতার প্রথম শর্ত হল, সেই ব্যক্তিকে এই জাতির অনুভতি লালনকারী, প্রচারকারী ও হেফাজতকারী হতে হবে। ঠিক তেমনি যে কোন রাজনৈতিক, সামাজিক বা অর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নেতৃত্বের জন্য প্রথমে দেখা উচিত তার মধ্যে কি এই প্রতিষ্টানের যে স্পিরিট, সেটা কাজ করছে কি না। নতুবা নতুন নেতা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ছেলে খেলা করতে কুন্ঠাবোধ করবেন না। নিজ স্বার্থে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করবেন না। স্পেশালি মতাদর্শিক কোন দলের জন্য একই মতাদর্শে পোড় খাওয়া কোন ব্যাক্তিকে নেতৃত্বে না এনে, একাডেমিক যোগ্যতা দেখে নেতা নির্বাচিত করলে পুরো আন্দোলন ভেস্তে যাবে। এবং এটাই আমরা দেখি বর্তমানকালের বিভিন্ন আদর্শিক রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে। ইবনে খালদুন বলেন, This is because leadership exists only through superiority, and superiority only through group feeling. Leadership over people, therefore, must, of necessity, derive from a group feeling that is superior to each individual group feeling. Each individual group feeling that becomes aware of the superiority of the group feeling of the leader is ready to obey and follow him. অর্থ্যাত এর কারণ নেতৃত্ব কেবলমাত্র শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমেই বেচে থাকে। এবং শ্রেষ্ঠত্ব কেবলমাত্র যৌথ অনুভূতি লালনের  মাধ্যমেই বিদ্যমান থাকে। এজন্য জনগণের উপরে নেতৃত্ব, অবশ্যই এমন একটি যৌথ অনুভূতি থেকে উদ্ভূত হওয়া চাই যা প্রত্যেক পৃথক ব্যাক্তি ও গোষ্ঠীর অনুভূতির চেয়ে উচ্চতর হবে। প্রত্যেক পৃথক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর  অনুভূতি যখন নেতৃত্বের যৌথ অনুভূতির শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়, তখন তাকে অনুসরণ ও তার অনুগত হতে তারা প্রস্তুত হয়ে যায়।

নেতৃত্ব যেহেতু দলীয় আদর্শের মাধ্যমে তৈরি হয়, তাই এর জন্য বিশেষ যোগ্যতাসম্মপন্ন কারো প্রয়োজন পড়ে না। বরং দলীয় আদর্শে উজ্জিবিত একটি দলের যে কোন সদস্যকে নেতা নির্বাচন করলে তিনিই যোগ্য নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান এই সন্ধিক্ষণে যোগ্য নেতা নয়, বরং আদর্শবাদী, কমিটেড কর্মীর প্রয়োজন।

নেতৃত্ব যদি এমন কারো হাতে তুলে দেয়া হয় যে এই যৌথ অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন নয়। কিংবা সেটা অর্জনের পথের যৌথ প্রচেষ্টার ব্যাপারে তার কোনই ধারণা না থাকে। তাহলে এমন নেতৃত্ব পতনের পথে পরিচালিত করে। যেমন নেতার ছেলেকে নেতা হিসেবে নির্ধারন করা। একটি প্রতিষ্ঠান, দল ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সে প্রত্যক্ষ করেনি। সে সহযোদ্ধা ছিল না। অতএব সে সমান মানসিকতা লালন করে না। সে মনে করে সে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এটা তাদের পারিবারিক অর্জন। পূর্বসূরিদের দলীয় কমিটমেন্টের ব্যাপারে সে সচেতন নয়। সে মতাদর্শিকভাবে একজন বহিরাগত।

বর্তমান তালেবান-আফগান শান্তি আলোচনার দিকে যদি আমরা নজর দেই, তাহলে দেখবো, দীর্ঘকাল সামরিক সংগ্রামের পরে তালেবানরা রাজনৈতিক সমাধানের পর্যায়ে এসেছে। এই পর্যায়ে নেগোশিয়েশন বা আলোচনার নেতৃত্ব সেইসব নেতাদের দেওয়া উচিত যারা এই দীর্ঘ সংগ্রামের পথে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন। সন্দেহ নেই, এই আন্দোলনের এই পর্যায় পর্যন্ত তারা আসতে পেরেছেন, তাদের আদর্শিক শ্রেষ্টত্বের কারনে। প্রতিটি পদে তারা অনুভব করেছেন; কিভাবে পশ্চিমের সামরিক মহা-প্লাবনের সামনে তাদের ঠিকে থাকা সম্ভব হয়েছে শুধু তাদের মতাদর্শিক ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তার কারনে। তাদের সংগ্রামের কোন স্তরেই আমরা তাদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব দেখতে পাই না। কিন্তু বর্তমানের এই পর্যায়ে এসে শান্তি আলোচনা ও নেগোশিয়েশনের দায়িত্ব যদি মাঠপর্যায়ের সামরিক নেতাদের হাতে না দিয়ে বিদেশে থাকা, উচ্চশিক্ষিত কোন ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়, তাহলে ফলাফল ঘরে তোলা অসম্ভব হবে। এটাই দেখা গেছে সিরিয়ার একসময়ের অন্যতম প্রধান দল আহরার আল শাম এর ব্যাপারে। বিভিন্ন শান্তি আলোচনার নামে তাদেরকে ধোকা দেয়া হয়েছিল। কাজাখিস্তানের আস্তানায় পর্যন্ত আলোচনার টেবিলে বসেন তারা। কিন্তু চুড়ান্ত ফলাফল ছিল, পুরো দলটাই ভেঙে যাওয়া। এই দলের আর কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায় না এখন।   

এভাবে বর্তমানে পশ্চিমা দেশে বসবাসরত মুসলিমরা নিজেদের আদর্শ ছেড়ে অন্য আদর্শে ইন্টিগ্রেট হলে কি নেতৃত্বের যোগ্য বিবেচিত হবেন? হবেন না। কারন তারা একই যৌথ অনুভূতি থেকে আগত নয়। লালনও করেন না। বেশিরভাগই অভিবাসি। তাদের পক্ষে আরেকজনের যৌথ অনুভূতি লালন করা সম্ভব নয়। অনেকেই সেসব দেশের এক-দুজন রাজণীতিকের উদাহরণ আনতে পারেন। উত্তরে এটাই বলা যায় যে, এগুলো আইসোলেটেড ঘটনা। বিভিন্ন কারনেও এমন কদাচিৎ ঘটনা ঘটে থাকে। এরপরেও এই অত্যন্ত স্বল্পসংখ্যক যারা উচু পর্যায়ে আসীন হয়েছেন তাদের মধ্যে আনুগত্য পাওয়ার বৈষম্যতার অনুভূতি থাকে। কারন সেখানকার অধীবাসিরা ভিন্ন আদর্শের, জাতের একজনের নেতৃত্ব প্রাকৃতিকভাবেই মেনে নিচ্ছে না।

এখন, যে ব্যক্তি এমন একটি সমাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে, যে সমাজের ঐতিহ্যগত যৌথ অনুভূতি সে ভাগ করে না। নির্দিষ্ট যোগ্যতার কারনে তিনি উচ্চ পদে আসীন হয়েছেন, মিত্র হয়েছেন। এই পদলাভ কোনওভাবেই তাকে সে সমাজের মানুষের উপরে শ্রেষ্ঠত্বের গ্যারান্টি দেয় না। সর্বোচ্চ ঘনিষ্ট সম্পর্ক হতে পারে। যেমন মক্কেল বা মিত্রতার সম্পর্ক। যদিও তিনি তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তুলেছেন। তিনি তাদের সাথে মিশে গেছেন। তাদের আত্মীয় হয়েছেন। বলা হচ্ছে তিনি এই সমাজের অংশ। কিন্তু তারপরেও তিনি তাদের নেতা হয়ে যাবেন এটা স্বাভাবিক নয়! 

কারন দলীয় যৌথ সামাজিক অনুভূতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি গোষ্টি তাদের উচ্চতা বা সুপিরিয়রিটির প্রমান দেয়। সেভাবেই নেতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে সঞ্চারিত হয়। যা গ্রুপ অনুভূতির মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। তাই সরাসরি বললে সাদা চামড়ার জনগোষ্ঠির জন্য শ্যামল বর্ণের লোককে নেতা বানালে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারন সাদা চামড়ার লোকদের সংগ্রামের কারনেই তারা আজ এই পর্যায়ে এসে পৌছেছে। এখানে অন্য জাতের একজন লোককে নেতৃত্বে বসালে সেটা তাদের জন্য মেনে নেয়া অস্বস্তিকর হবে। ঠিক তেমনি, মুসলিম দেশে সেক্যুলার, গণতান্ত্রীক, সমাজতান্ত্রিকদের নেতা হিসেবে পছন্দ করলে সেটাও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এভাবে আদর্শিকভাবে ভাবলে, সেক্যুলারদের নেতা হিসেবে ইসলামপন্থীরা গ্রহণযোগ্য হবেন না। এটাই প্রাকৃতিক। বাস্তবতা। নেতৃত্বের প্রয়োজনীয় প্রথম শর্ত অবশ্যই সেই ব্যক্তি একই গোষ্ঠী থেকে আগত যৌথ অনুভূতি লালনকারী হতে হবে।

নেতৃত্ব, সম্মান ও মর্যাদা মানুষ তার কাজের মাধ্যমে অর্জন করে থাকে। একটি দল, গোষ্ঠি ও সমাজও তাদের কাজের মাধ্যমে এই সম্মান অর্জন করে যায়। যখন কোন দলীয় অনুভূতি ভীষণ শক্ত ও সমীহ জাগানো হয়, এবং সেটাকে বিশুদ্ধ রাখা হয়। তখন সেই দল ও দলের অনুভূতী হয় অনেক কার্যকর। তখন যারাই এই দলীয় অনুভূতী লালনকারী হন, তাদের সম্মান, মর্যাদা শক্তিশালীভাবে বেড়ে যায়। মুসলিম উম্মাহ যতদিন পর্যন্ত তাদের ঈমানি অনুভূতীকে বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণ করে রেখেছিল ততদিন তারা সমীহ জাগানিয়া জাতি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু উম্মাহ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ায় বর্তমান মুসলিম জাতি তাদের সেই নেতৃত্ব পর্যায়ের অবস্থান হারিয়েছে। বিচ্ছিন্ন মুসলিম উম্মাহর সদস্যদের কারো হয়তো রুপক অর্থে কোন অবস্থান, পদবী থাকতে পারে। কিন্তু এই ধারনা করা যে তারা কোন শক্তি রাখেন সেটা শুধুই একটা দাবী। বাস্তবতা নয়।

মুসলিম জনগোষ্ঠী মূলত উম্মাহ অনুভূতি ধারনের মাধ্যমে গঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু তারা যখন সংগ্রামী জীবন ছেড়ে দেয় ও অন্যান্য জাতির সাথে ইন্ট্রিগ্রেট হতে থাকে, তখন তারা তাদের সেই অনুভূতি ও আদর্শিক শক্তি হারাতে থাকে। এই উম্মাহ অনুভূতি ও ব্যক্তিগত কোয়ালিটির মাধ্যমে মানুষ সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করে। কিন্তু পরবর্তীতে এই লোকেরা যখন আরাম-আয়েশের জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন যৌথ অনুভূতি হারিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে আভিজাত্য হারিয়ে যায়।

যেমন উম্মাহর মধ্যে থেকে একটি দলের আবির্ভাব হয় যারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরে। কিন্তু প্রথম প্রজন্মের পরে আস্তে আস্তে তাদের মধ্যকার যৌথ অনুভূতি হারিয়ে যেতে থাকে। A certain delusion as to their former prestige remains in their souls and leads them to consider themselves members of the most noble houses. They are, however, far from that (status), because their group feeling has completely disappeared. অর্থ্যাত তাদের মধ্যে এই বিভ্রান্তি কাজ করে যে তাদের পূর্বের সেই প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়ে গেছে। তারা নিজেদেরকে সবচেয়ে উঁচু দলের সদস্য হিসাবে বিবেচনা করে। তবে বাস্তবতা হল, তারা এই স্ট্যাটাস থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। কেননা তাদের দলীয় অনুভূতি পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেছে। এই বিষয়টা আমরা দেখতে পাবো দেওবন্দী ধারার মানুষের মধ্যে। দারুল উলূম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাকালীন যৌথ অনুভুতি থেকে এর অনুসারী দাবীদারেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। তারা দাবী করেন দেওবন্দী আকাবিরদের অনুসারী। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেটা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছেন তারা। এমনিভাবে দেওবন্দের প্রথম জামানার যে অনুভূতি ও কর্মপন্থা ছিল, সংগ্রামের যে স্পৃহা ছিল, সেখান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছেন এর অনুসারী দাবীদারেরা। ফলস্বরূপ প্রথম যুগের দেওবন্দীদের মধ্যে যে প্রভাব প্রতিপত্তি বিরাজমান ছিল, এ যুগে এসে তা শুধুই কল্পনায় রয়ে গেছে। অনুসারীরা ধারণা করেন, আমাদেরও সেই একই সম্মান মর্যাদা, প্রভাব-প্রতিপত্তি। কিন্তু বাস্তবে সেটা বিভ্রান্তি। এটা হওয়ার কারন, প্রথম জেনারেশনের সংগ্রামের ফলে প্রতিষ্ঠিট অবস্থানকে পরবর্তীরা ধরে নিয়েছেন, সেটা এমনি এমনি এসেছে। শুধু এই গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হয়ে যাওয়া মানেই সেই স্ট্যাটাস অর্জন করা। তারা আমলে নেননি এই স্ট্যাটাস অর্জনে প্রথম জেনারেশনকে কতটুকু সংগ্রাম ও ত্যাগ করতে হয়েছে। তারা আকাবির ফিলিংসের মধ্যে বুধ হয়ে গেছেন।

ইবনে খালদুন বলেছেন, ইস্রায়েলীদের মধ্যে এমন বিভ্রান্তি খুব দেখা যায়। ইতিহাসের অন্যতম সম্ভ্রান্ত গোষ্ঠী থেকে তারা এসেছে। তাদের পূর্বসূরীদের মধ্যে ইবরাহীম আঃ ও মূসা আঃ সহ অসংখ্য নবী-রাসূলগণের জন্ম হয়েছে। তাছাড়া তাদের মধ্যকার যৌথ অনুভূতি ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব যা আল্লাহ তাআলা তার ওয়াদা অনুসারে তিনি তাদেরকে দান করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা তাদের সেই যৌথ অনুভূতি থেকে বিচ্যুত হয়েছিল, এবং লাঞ্চনা ও অপদস্ততার শিকার হয়েছিল। পৃথিবীতে নির্বাসিত জাতি হিসেবে বাস করার ভাগ্য নির্ধারিত হল তাদের। হাজার হাজার বছর ধরে তারা কেবল দাসত্ব ও অবিশ্বাস জেনে আসছিল। তবুও আভিজাত্যের বিভ্রান্তি তাদের ছেড়ে যায়নি।

তাদের বলতে শুনা যায়: 'উনি হারুন আঃ এর বংশের; 'ইনি ইউশা বিন নূনের আঃ বংশধর'; 'তিনি 'তিনি এহুদা গোষ্ঠীর লোক।' যদিও অনেক আগেই তাদের যৌথ অনুভূতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং বহুকাল যাবত তারা অপমানজনক অবস্থায় আছে। এভাবেই শহরের অনেক বাসিন্দা বা বিভিন্ন দলের অনুসারীরা এমন নামকাওাস্ত টাইটেল ধারন করেন। অথচ তারা ঐতিহ্যবাহী যৌথ অনুভূতি ধারণ করেন না। তাই তাদের মধ্যে এমন বাজে রকমের অবস্থা দেখা যায়।

আর কোন ক্ষমতাই যাদের নেই তাদেরকে চিহ্নিত করা খুব সহজ। তারা কারও মতামতে প্রভাব ফেলতে পারেন না। কিংবা কেউ তাদের মতামতও নেয় না। শহররের আয়েশী বাসিন্দারা এই বিভাগে আসেন। বাংলাদেশের ইসলামপন্থীরাও এই বিভাবে আসেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে ইসলাম ও মুসলিমদের ব্যাপারে ও তাদের জন্য যেসব নিয়ম-নীতি তৈরি করা হয়, তাতে মোটেই ইসলামপন্থীদের সাথে কোন কনসাল্ট করা হয় না।

আরেকটি ব্যাপার খালদুন এখানে বলেছেন, যে ক্লায়েন্ট রাষ্ট্র, যাদের নিজের কোন সম্মান ও মর্যাদা নেই। তারা অন্য দেশ ও গোষ্ঠীর সাথে নিজেদের যুক্ত করে সম্মান অর্জন করে। যেখানে লোকদের নিজস্ব কোনও আভিজাত্যের অভিজ্ঞতা নেই। তারা তাদের কর্তাদের আভিজাত্যে অভিজাত হিসেবে পরিগণিত হয়। মতাদর্শিকভাবে ভাবলে দেখা যাবে, মুসলিম দেশের গণতান্ত্রিক ও সেকুলারদের নিজস্ব কোন আভিজাত্য, আদর্শ নেই। তারা পাশ্চাত্য থেকে সবকিছু ধার নেয়। পশ্চিমের অনুসরণ করে। এটা স্বাভাবিক। তার চামড়া, জ্ঞান, বংশ তার কোন কাজে আসে না। তার যশ ও মর্যাদা তৈরি হয় নির্দিষ্ট মনিব রাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্কের ভিত্তিতে। যেখানে তার সম্পর্কটা থাকে একজন অনুসারী হিসেবে।

একটা জিনিস খালদুন বলেছেন যে, Nobility originates in the state of being outside. That is, being outside of leadership and nobility and being in a base, humble station, devoid of prestige. This means that all nobility and prestige is preceded by the non-existence of nobility and prestige. অর্থ্যাত আভিজাত্য ও অবস্থান বাইরে থেকে আসে। অর্থ্যাত তা আভিজাত্য ও নেতৃত্বের বাইরে থেকে আসে। এর জন্য একনিষ্ঠভাবে পরিশ্রম করা হয়। এ সময় প্রভাব প্রতিপত্তি থাকে না। কাজ হয় নিরহংকার। কাজের মাধ্যমে তা তৈরি হয়। অর্থ্যাত সম্মান, অবস্থান এগুলো প্রথমে শুণ্য থাকে। তারপর তা তৈরি হয়।

প্রথম জেনারেশন জানে এই অবস্থানে পৌছুতে তাদেরকে কি মূল্য বহন করতে হয়েছে। তাদের এমন  নিরহংকার, একনিষ্ঠ পরিশ্রমে তৈরি ইমেজকে মূল্য দেয় দ্বিতীয় প্রজন্ম। কারন প্রথম প্রজন্মের সাথে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এর পরের প্রজন্ম থেকেই ক্ষয় ও পতন শুরু হয়। একসময় এমন হয় যে তারা প্রথম প্রজন্মের সকল কোয়ালিটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মানুষের সাথে দুরত্ব তৈরি হয়। কোন একটি দল বা গোষ্ঠীতে যখন এই অবস্থা তৈরি হয়, তখন তারা মনে করে সম্মান, ইমেজ, আভিজাত্য এসব অটোমেটিক আসে। যেমন উদাহরণ হিসেবে কওমী ছাত্রদের দিকে তাকালে দেখা যায় তারা অনেকেই মনে করেন, শুধু মাদ্রাসায় পড়ার কারনে ধর্মীয় অথরিটির সম্মান তাদের প্রাপ্য। অথচ অনেকাংশেই তারা সাধারণ মানুষদের থেকে ডিসকানেক্টেড। তারা বুঝতে পারেন না এই সম্মান তৈরির পেছনে অনেক কাজ ও সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। আজকে তারা ভূলে গেছেন মানুষের মধ্যে এই ইমেজ ও অবস্থান কিভাবে তৈরি হয়েছিল। তাদের এই ভাবনা - শুধু কওমী মাদ্রাসার সাথে জড়িত হওয়ার কারনে তাদের সম্মান প্রাপ্য, অন্য কিছুর কারনে নয়। সেটা মানুষের সাথে অন্যান্য সম্পর্কের বিষয়টাকে খাটো করে দেখে। সাধারণ মানুষের সাথে তারা ধর্মীয় আলোচনা থেকে দূরে থাকেন, এই ভেবে যে তারা এসব আলোচনায় অংশ নেওয়ার যোগ্য নয়। নিজেরা অন্যদের চেয়ে ভালো, যোগ্য। তাদের ভাবনা ও ইচ্ছা অন্যরা শুধু তাদেরকে অনুসরণ করবেন। এটা যেন নির্ধারিত হয়েই আছে। ধর্মীয় ব্যাপারে বাকিদের আনুগত্য করতেই হবে। অথচ তাদের অনেকেরই জানা নেই, আনুগত্য পাওার জন্য কোন কোন গুণাবলী অর্জন করা জরুরী। অবস্থা এমন চলতে থাকলে, একসময় মানুষ ধর্মীয় ইস্যুর সমাধানে অন্যদের কাছে তাদের আনুগত্য দেবে। এটাই লক্ষ্য করা যায়, বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে। শুধু কওমী মাদ্রাসা নয়, যে দল, কোম্পানী, বা গোষ্ঠী সেটা করে সকলেরই একই অভিজ্ঞতা হয়। মানুষ একসময় তাদের বিপক্ষে বিদ্রোহ করে। তাদেরকে ঘৃণা করে। আর এভাবেই একসময় যাদের কোন আভিজাত্য, অথরিটি ও ইমেজ ছিল না তাদের সেগুলো তৈরি হয়। এবং তারা পুরনো গুষ্ঠিকে হঠিয়ে সেই অবস্থানে চলে আসে। আর পুরনো গুষ্ঠী একসময় বিলীন হয়ে যায়।

পতনোম্মোখ, পরাজিত মানুষকে দেখবেন, তারা সর্বদা, বিজয়ীকে অনুসরণ করে যায়। পোশাক, পেশা, সংস্কৃতি সহ সকল ক্ষেত্রে। খালদুন বলেছেন, The reason for this is that the soul always sees perfection in the person who is superior to and to whom it is subservient. It considers him perfect, either because it is impressed by the respect it has for him, or because it erroneously assumes that its own subservience to him is not due to the nature of defeat but to the perfection of the victor. If that erroneous assumption fixes itself in the soul, it becomes a firm belief. The soul, then, adopts all the manners of the victor and assimilates itself to him. অর্থ্যাত এর কারণ হল মানুষের অন্তর সর্বদা এমন ব্যক্তির মধ্যে পরিপূর্ণতা দেখে যিনি তার থেকে শ্রেষ্ঠ এবং সে যার অধীন ও আজ্ঞাবহ। সে মনে করে সেই ব্যাক্তি ত্রুটিহীন পূর্ণাংগ। এটি তার প্রতি শ্রদ্ধায় প্রভাবিত হওয়ার কারণে হয়। বা এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে সৃষ্টি হয় যে, তার এই আনুগত্য পরাজয়ের কারনে নয়, বরং বিজয়ীর পরিপূর্ণতার কারনে। যদি এই ভুল ধারণাটি অন্তরে গেঁথে যায়, তাহলে একসময় তা বিশ্বাসে পরিণত হয়। আত্মা তখন বিজয়ীর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান গ্রহণ করে। এবং নিজেকে তার সাথে সংযুক্ত করে।

এইটাই আমরা দেখেছি, মুসলিম বিশ্বে। পশ্চিমের কাছে পরাজয়ের পরে আজ মুসলিম বিশ্ব সেই পরাজয়ের কারনে নয়, বরং পশ্চিমাদের নামধারী আধুনিকতাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে মেনে নিয়ে, সেটাকেই বিশ্বাসে রুপান্তরিত করেছে, মুসলিম বিশ্বের পরাজিত মানুষেরা। এই পরাজয়কে কখনো বিজয়ে রুপান্তরিত করা সম্ভব হবে না, যতক্ষণ না, মুসলিমরা তাদের বিশ্বাস ও শারিয়াহর শ্রেষ্ঠত্বের বিশ্বাসে ফিরে আসবেন।

যাইহোক, পরাজিতরা সর্বদা পোষাক স্টাইল, উন্নয়ন এবং অস্ত্রের ব্যবহারে বিজয়ীর সাথে নিজেকে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকে। সবকিছুতে। এ ব্যাপারে লক্ষনীয়, শিশুরা কিভাবে ক্রমাগত তাদের পিতাদের অনুকরণ করে। কারন তারা পিতার মধ্যে পরিপূর্ণতা খুজে পায়।

এর আলোকে আমাদেরকে এই উক্তির মর্ম বুঝা উচিত, 'The common people follow the religion of the ruler.'  'সাধারণ মানুষ শাসকের ধর্ম অনুসরণ করে।' শাসক তাঁর অধীনস্থদের উপর কর্তৃত্ব করে। অধীনস্থরা তাকে অনুকরণ করে। কারণ তারা তাঁর মধ্যে পুর্ণতা দেখতে পায়। ঠিক যেমনটি শিশুরা তাদের পিতামাতাকে বা ছাত্ররা তাদের শিক্ষকদের অনুকরণ করে।

আল্লাহই ভালো জানেন। ( চলবে....)

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

কুরবানি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বিধান। মুফতি শরীফ মোহাম্মদ সাঈদ

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লন্ডনে সিম্পল রিজনের অফিস পরিদর্শন করলেন মুফতি সাইফুল ইসলাম

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লিডসে শায়েখে বাঘা রহঃ-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লন্ডনের সভায় আলেমরা বি এ এস বি কমপ্লেক্সকে সহযোগিতার আহবান জানালেন।

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বইঃ বশীর আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বার্মিংহামে শায়েখে বাঘা রহঃ জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বায়রাক্তার টিবি২ দীপ্তিমান করছে তুরস্কের ভাগ্য

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

জার্মানিতে বছরে শতাধিক মসজিদে হামলা; উদ্বিগ্ন মুসলিমরা

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বুজুর্গ উমেদ খাঁ। চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধারের মহানায়ক!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ডুরান্ড লাইন! পাক - আফগান দ্বন্দ্বের রেড লাইন!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ত্রিপুরা ও বাংলার ঐতিহাসিক সম্পর্ক | পর্ব ২

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ত্রিপুরার সাথে ইসলাম এবং বাংলাদেশের সহস্র বছরের যোগসূত্রের সন্ধানে!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

পূর্ব আফ্রিকায় পর্তুগিজ উপনিবেশ স্থাপন, শোষণ ও ফলাফল

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

আফ্রিকার বুকে পর্তুগীজ কলোনি স্থাপনের ইতিহাস।

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষের অবিচ্ছিন্ন জলপথ আবিষ্কার।

the global affairs google play logo the global affairs apple logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হোসাইন আহমদ

info@theglobalaffairs.info