সর্বশেষ
  কুরবানি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বিধান। মুফতি শরীফ মোহাম্মদ সাঈদ   লন্ডনে সিম্পল রিজনের অফিস পরিদর্শন করলেন মুফতি সাইফুল ইসলাম   লিডসে শায়েখে বাঘা রহঃ-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   বার্মিংহামে শায়েখে বাঘা রহঃ জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত   লন্ডনের সভায় আলেমরা বি এ এস বি কমপ্লেক্সকে সহযোগিতার আহবান জানালেন।   বইঃ বশীর আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ   বায়রাক্তার টিবি২ দীপ্তিমান করছে তুরস্কের ভাগ্য   জার্মানিতে বছরে শতাধিক মসজিদে হামলা; উদ্বিগ্ন মুসলিমরা   বুজুর্গ উমেদ খাঁ। চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধারের মহানায়ক!   ডুরান্ড লাইন! পাক - আফগান দ্বন্দ্বের রেড লাইন!   ত্রিপুরা ও বাংলার ঐতিহাসিক সম্পর্ক | পর্ব ২   ত্রিপুরার সাথে ইসলাম এবং বাংলাদেশের সহস্র বছরের যোগসূত্রের সন্ধানে!   আসামের বর্তমান পরিস্থিতি!   আসামে ইসলামের আগমন ও এন আর সি ক্রাইসিস।   নবাব নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়া বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব!   প্রাক-ইসলামিক আরব। ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি।   ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষের অবিচ্ছিন্ন জলপথ আবিষ্কার।   আফ্রিকার বুকে পর্তুগীজ কলোনি স্থাপনের ইতিহাস।   পূর্ব আফ্রিকায় পর্তুগিজ উপনিবেশ স্থাপন, শোষণ ও ফলাফল   ধর্ষণের আলামত যেভাবে পরীক্ষা করা হয়।   মেটাভার্স   বাংলাদেশের সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় তুরস্ক   লিবারেলিজম।   ইউরোপে ইসলাম বিদ্বেষের উত্থান।    পাকিস্তানে ইসলামী দল, তেহরিক-ই-লাব্বাইক নিষিদ্ধের ঘোষণা।   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব- ১১। নেতৃত্বের যোগ্যতা ও ব্যর্থ নেতৃত্ব।   ২০২০ সালের দিল্লি সহিংসতা ছিল একটি সংগঠিত, পরিকল্পিত ‘প্রোগ্রাম’। এবং কেন?   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৭   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৬   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৫   ২০০২ সালের গুজরাট গণহত্যা ও নরেন্দ্র মোদি   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৪   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-৩   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-২   দ্যা রুম হোয়ার ইট হ্যাপেনড। বই রিভিউ। পর্ব-১   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব- ১০   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৯   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৮   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৭   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৬   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৫   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৪   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-৩   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-২   মুকাদ্দিমাহ রিভিউ। পর্ব-১   রিবা নির্মূল হতে পারে সীরাতের পন্থায়!   ১৯৯১ সালে কাশ্মীরের কুনান ও পোশপোরায় গণধর্ষণ। আজও বিচার হয়নি।   নজরদারি: ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত’   ব্যবসার সঙ্গে অন্য সংস্কৃতিকে যুক্ত করার এজেন্ডা!

নবাব নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়া বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব!

১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৮ অপরাহ্ণ

    শেয়ার করুন

সাইফুদ্দীন আহমদ।

বাংলা - বিহার - উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে আমরা সকলেই এককথায় জানি নবাব সিরাজ উদ দৌলার নাম। কিন্তু ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন সিরাজের পতন হওয়ার পরেও প্রায় আড়াই দশক বাংলার বুকে স্বাধীন নবাবের অস্তিত্ব ছিলো। আর সেই নবাব হলেন মোগল প্রিন্স নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। অবশ্য রাজধানী মুর্শিদাবাদ কখনোই তার নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। তিনি মূলত বৃহত্তর উত্তরবঙ্গে স্বাধীন নবাবী পরিচালনা করেছেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন বারেবারে।

অনেক ঐতিহাসিকের মতে ব্রিটিশদের ভাষায় তিনিই ফকির মজনু শাহ, লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাকে চিত্রায়িত করেছেন কৃষক নেতা নুরুলদীন হিসেবে। সৈয়দ শামসুল হকের কলমে নুরুলদীনের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে বিখ্যাত জাগরনী আহ্বান 'জাগো বাহে কোনঠে সবাই! কিন্তু এই দুইটার একটাও তার আসল পরিচয় নয়। ফকির মজনু শাহ ওরফে নুরুলদীনের আসল নাম হলো নুর উদ্দিন মুহাম্মদ বাকের জং। তিনি ছিলেন একজন মোগল শাহজাদা, মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের চাচাতো ভাই।

১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজের পতনের পর মুর্শিদাবাদে পুতুল নবাব হিসেবে মীর জাফর, মীর কাসেমদের বসায় ব্রিটিশ বেনিয়ারা। ঠিক সে সময় দিল্লি হতে মোগল শাহজাদা নুর উদ্দিন বাকের জং রংপুর - দিনাজপুর অঞ্চলে আগমন করেন নবাব পদবীর দাবিদার হয়ে। ধারণা করা হয়, মোগল রাজদরবার থেকেই তাকে পাঠানো হয়।

ব্রিটিশরা যে নুর উদ্দিনকে মেনে নিবে না, সেটা তিনি ভালো করেই বুঝেছেন। তাই শুরু থেকেই ব্রিটিশ বেনিয়াদের সাথে লড়াই করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭৬০ সালে সংগঠিত হয় ঐতিহাসিক  "ব্যাটল অফ মাসিমপুর" যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নবাবের কাছে হেরে যায় ব্রিটিশ বেনিয়ারা এবং তাদের অনুগত বিহারের ডেপুটি নবাব রামনারায়ণের বাহিনী।

মাসিমপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন শাহজাদা দ্বিতীয় শাহ আলম, যিনি পরবর্তীতে মোগল সম্রাট হন। মাসিমপুরে বিজয় অর্জনের পর সমগ্র উত্তরবঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আসে নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের। আর ব্রিটিশদের মধ্যে শুরু হয় আতংক। ব্রিটিশদের লিখিত ইতিহাস অবশ্য নবাবের নাম দিয়ে লিখা হয়নি। একদল গবেষকের মতে এই সংঘাতকে " ফকির বিদ্রোহ " হিসেবে ব্রিটিশরা নামকরণ করে।

ব্রিটিশদের ঘৃণ্য ইতিহাস বিকৃতি!

বাংলার বৈধ ও যোগ্য নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংকে ব্রিটিশরা ইতিহাসে ঠাঁই দেয় ফকির, দস্যু, সন্ত্রাসী হিসেবে। ব্রিটিশরা কখনো প্রচার করতে দেয়নি যে, নবাবের সাথে তাদের যুদ্ধ হচ্ছে। কেননা এটা প্রচারিত হলে পুরো দেশজুড়ে আরো অধিক সংখ্যক মানুষ বিদ্রোহে জড়িয়ে যেতো। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ডব্লিউ হান্টারের ভাষায় মজনু শাহ একজন স্বঘোষিত নবাব ছিলো এবং নবাবের মোঘল পরিচয়কেও অস্বীকার করেন তিনি। অথচ এটা সম্পূর্ণ ইতিহাস বিকৃতি।

তৎকালীন রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের সব সাধারণ জনগণই নবাবকে গ্রহণ করে নেন। আর এই সাধারণ মানুষের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই সুদীর্ঘ দুই যুগ ব্রিটিশদের ভিত কাঁপিয়ে তোলেন আমাদের নবাব নুর উদ্দিন। আজো রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে, ছড়ায়, কিংবদন্তীতে একটিই নাম- নবাব নুর উদ্দিন!

নবাবের মৃত্যুর পর ব্রিটিশরা সবসময় কড়া নজর রাখতো নবাব নুর উদ্দিনের বংশধরদের উপর। যাতে কখনোই নবাব এবং তার রাজধানীর পরিচয় প্রকাশিত না হয়। ব্রিটিশ আমলের পুরোটা সময় পর্যন্ত এসব নিয়ে কথা বলাটা দন্ডনীয় ছিলো।

নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগী ছিলেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি নামক স্থানে রাজধানী নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং। কিন্তু তিনি পুরোপুরি তা সমাপ্ত করতে পারেননি।

তবে এরপরেও বেশকিছু দাপ্তরিক দালান, কোর্ট, মসজিদ এবং প্রাসাদের কাজ আংশিক সমাপ্ত হয়। এগুলোর মধ্যে মসজিদটা ছাড়া আর কোনোকিছু এখন অক্ষত নেই। অবশ্য মসজিদটার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করেন তার পুত্র শাহজাদা কামাল উদ্দিন।

ব্রিটিশরা নবাবের এই রাজধানী ইতিহাস থেকে মুছে দিতে কম চেষ্টা করেনি। কামানের মাধ্যমে মসজিদ আর বসবাসের প্রাসাদটি ছাড়া আর সব স্থাপত্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ঐ এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয় শালবন। যাতে গাছ গাছালি, বন বাঁদাড়ে ঢেকে পড়ে তাদের চিরশত্রুর ক্যান্টনমেন্ট!

নবাব পরিবারের বসবাসকৃত অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চলে নিয়মিত পুলিশ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতো, যাতে কেউ নবাবের কাহিনি প্রচার না করে। ব্রিটিশরা নবাবের আসল মৃত্যু সাল পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলো। নবাব শহীদ হন ১৭৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে , কিন্তু ব্রিটিশ ইতিহাসে লিখা হয় ১৭৮৭ সালে নবাবের মৃত্যুর কথা।

নবাব নুর উদ্দিনের বীরত্বপূর্ণ জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে কয়েকজন ব্রিটিশ বিরোধী সন্ন্যাসী মিলে রচনা করেন " অজ্ঞাতের ইতিহাস " নামক বই। ব্রিটিশ সরকার এই বইটির সব কপি খুঁজে খুঁজে ধ্বংস করে ফেলে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ৭৫ বছর পরেও এদেশের ইতিহাস স্বীকৃতি দিলোনা তাদের শেষ নবাবকে। এখনো ব্রিটিশদের শিখানো ফকির বিদ্রোহ হিসেবে অবমূল্যায়ন করা হয় নবাবের সংগ্রামকে। অথচ স্বাভাবিক মনো চিন্তাতেও এটা বুঝা যায়, সাধারণ ফকির বা সন্ন্যাসী দ্বারা কখনো এতোবড় শক্তির বিপক্ষে লড়াই করা সম্ভব হয় না। একমাত্র রাজশক্তির বলে বলীয়ান কোনো যোগ্য নেতাই ব্রিটিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষে এরকম সংগ্রাম চালাতে পারেন।

নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের বংশধরেরা এখনো ফুলচৌকিতে বসবাস করেন। তারই ষষ্ঠ বংশধর হায়দার আলী চৌধুরী কর্তৃক রচিত হয় " পলাশী যুদ্ধোত্তর আজাদী সংগ্রামের পাদপীঠ " নামক বইটি। এই বইটিতে তিনি তুলে ধরেছেন ব্রিটিশরা কত কসরত করেছিলো আমাদের এই নবাবকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে। হয়তো তারা সফলই!

১৭৬০ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত সুদীর্ঘ ২৩ বছর উত্তর ও মধ্য বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নবাবের সাথে ব্রিটিশ বেনিয়া এবং তাদের অনুগত জমিদারদের সংঘাত হয়। কিন্তু কোনোভাবেই ব্রিটিশরা নবাবকে নির্মূল করতে সক্ষম হয়নি। অবশেষে ১৭৮৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের এক যুদ্ধে পিছন থেকে নবাবকে আঘাত করে আহত করে এক ব্রিটিশ সেনা। আর সেই আঘাতের কারণে কয়েকদিন পর মৃত্যু বরণ করেন নবাব। তার শাহাদাতের পরপরই সমগ্র রাজধানী দখলে চলে আসে ব্রিটিশ বেনিয়াদের।

ব্রিটিশরা তখন বাধ্য করে নির্মিতব্য মসজিদের সদর দরজা বরাবর এই স্বাধীন নবাবকে কবরস্থ করতে। নবাবকে মৃত্যুর পরেও নিকৃষ্ট ভাবে অপমানিত করতে চেয়েছিলো এই সভ্য ব্রিটিশ জাতি!

নবাবের কবরের যাতে আর অস্তিত্ব না থাকে, সেজন্য পরবর্তীতে তারা জায়গাটি সমান করে ফেলে এবং সেখানে বাগান করে। নবাবের ছেলে শাহজাদা কামালউদ্দিন বাবার মৃত্যুর অনেক পরে মসজিদের কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত করেন। কিন্তু তখনো সদর দরজায় নবাবের কবরের উপর দিয়ে হেঁটেই মসজিদে ঢুকতে হতো মুসল্লীদের।

১৮৫৭ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন বিখ্যাত আলেম মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী ব্রিটিশদের সাথে থাকা তার ভালো সম্পর্কের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নবাবের কবরের অমর্যাদা দূর করার কাজ হাতে নেন। তিনি সদর দরজা বন্ধ করতে সক্ষম হন এবং পাশে একটা ছোট গেইট নির্মাণ করেন। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই মসজিদের সদর দরজা বন্ধ এবং সবাই ছোট গেইট দিয়েই মসজিদে প্রবেশ করেন।

মোগল প্রিন্স এই নবাবের সাথে জড়িয়ে আছে বেশকিছু ঐতিহাসিক নাম।

i) নবাবের সহযোগী ছিলেন ভবানী পাঠক এবং জমিদার জয়দুর্গা দেবী চৌধুরাণী (  দেবী চৌধুরাণী নামে রংপুর অঞ্চলে একটা রেলস্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। উপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্রের "দেবী চৌধুররাণী " উপন্যাসের নায়িকাও এই মহীয়সী নারী )।

ii) নবাব ব্রিটিশ সৈন্য দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর তার সেবা শুশ্রূষা করেন ধনাঢ্য নারী যোদ্ধা লাল মনি। এই লালমনির নামেই নামকরণ হয় লালমনিরহাট জেলার।

iii) নবাবের কন্যা লালবিবি হলেন মোঘল বাদশাহ দ্বিতীয় আকবরের বউ। আর তাদের ওরশে জন্মগ্রহণ করেন শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ। আর এই বাহাদুর শাহের মাতা তথা নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং এর কন্যা লালবিবির কবরও কিন্তু রংপুর জেলায়। ব্রিটিশরা সরাসরি গুলি করে এই মহিয়সী নারীকে হত্যা করে। ভবানী পাঠক কেও এইদিন রাণীর সাথে হত্যা করা হয়।

iv) রাণী ভবানী। নাটোরের বিখ্যাত জমিদার। নবাব নুর উদ্দিন তার লড়াই সংগ্রামে সহায়তা করার জন্য রাণীকে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানান। তবে রাণী তার এই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।

v) এছাড়া দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নামকরণ হয় এস্থানে নবাবের ঘাঁটি স্থাপন করা থেকেই।

নবাব নুর উদ্দিন বাকের জং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব! তার স্মৃতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেয় হয়নি। এদেশকে শোষন করা রাণী ভিক্টোরিয়া, লর্ড কার্জন, কারমাইকেল, ফুলার সহ আরো শত শত ব্রিটিশের নামে দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। অথচ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সেনানী নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের নামে বাংলাদেশে সামান্য একটা রাস্তার নামও নেই। ব্রিটিশ বিদায়ের ৭৫ বছর পর এসেও এমন ঘটনা বাংলাদেশিদের জন্য জাতি হিসেবে লজ্জার ।

নবাব নুর উদ্দিন বাকের জংয়ের মতো এমন সাহসী এবং দেশপ্রেমিক যোদ্ধার নামে তাই দেশজুড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা উচিত ছিলো। দরকার ছিলো এই বীর সৈনিকের নামে সামরিক বাহিনীর স্থাপনার নামকরণ করা। নবাবের আসল ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই হয়নি।

আমাদের এই গৌরবময় ইতিহাস যদি আমরা তুলে আনতে না পারি, তাহলে আমাদের শুধু পাশ্ববর্তী দেশসমূহের বীরদের বীরত্ব সম্পর্কেই জানা হবে। নিজ দেশের, নিজ অঞ্চল নিয়ে গর্ব করার কোনো ইতিহাস আমাদের সম্মুখে থাকবে না।

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

কুরবানি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বিধান। মুফতি শরীফ মোহাম্মদ সাঈদ

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লন্ডনে সিম্পল রিজনের অফিস পরিদর্শন করলেন মুফতি সাইফুল ইসলাম

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লিডসে শায়েখে বাঘা রহঃ-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

লন্ডনের সভায় আলেমরা বি এ এস বি কমপ্লেক্সকে সহযোগিতার আহবান জানালেন।

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বইঃ বশীর আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বার্মিংহামে শায়েখে বাঘা রহঃ জীবন ও কর্ম শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বায়রাক্তার টিবি২ দীপ্তিমান করছে তুরস্কের ভাগ্য

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

জার্মানিতে বছরে শতাধিক মসজিদে হামলা; উদ্বিগ্ন মুসলিমরা

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

বুজুর্গ উমেদ খাঁ। চট্টগ্রাম পুনরুদ্ধারের মহানায়ক!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ডুরান্ড লাইন! পাক - আফগান দ্বন্দ্বের রেড লাইন!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ত্রিপুরা ও বাংলার ঐতিহাসিক সম্পর্ক | পর্ব ২

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ত্রিপুরার সাথে ইসলাম এবং বাংলাদেশের সহস্র বছরের যোগসূত্রের সন্ধানে!

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

পূর্ব আফ্রিকায় পর্তুগিজ উপনিবেশ স্থাপন, শোষণ ও ফলাফল

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

আফ্রিকার বুকে পর্তুগীজ কলোনি স্থাপনের ইতিহাস।

The Global Affairs - সর্বশেষ সংবাদ ও শিরোনাম

ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষের অবিচ্ছিন্ন জলপথ আবিষ্কার।

the global affairs google play logo the global affairs apple logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ হোসাইন আহমদ

info@theglobalaffairs.info